নতুন শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক শিক্ষাকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশে মাধ্যমিক স্তরে ৬টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, একটি কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও একটি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডসহ মোট ৮টি শিক্ষা বোর্ড রয়েছে। শিক্ষা বোর্ডগুলোর বাইরেও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হয় এসএসসি এবং এইচএসসি প্রোগ্রাম। অথচ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডগুলোর সাথে অনুষ্ঠিত হয় না কিংবা ফলাফলও প্রকাশিত হয় না।
শিক্ষাব্যবস্থার করুণ অবস্থার কারণে ধরে রাখা যাচ্ছে না শিক্ষার্থীদের। গতবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয় ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪৭ জন। ২০১২ সালে ১৪ লাখ ২০ হাজার ৫৭ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। অর্থাৎ ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করবার আগেই ঝরে গেছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো ৯ লাখ ১৭ হাজার ৬৭৩ জন। অর্থাৎ ৫ লাখ ২ হাজার ৩৮৪ জন শিক্ষার্থী শুধু দশম শ্রেণি ও দ্বাদশ শ্রেণি এই দুই বছরের মধ্যে ঝরে গেছে। কাজেই শুধু মাধ্যমিক স্তরেই ঝরে পড়া মোট শিক্ষার্থীর পরিমাণ ১২ লাখ ৬৮ হাজার ৭৪ জন। এখানে সমাপণী, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাগুলোর মধ্যকার সময় পার্থক্যের কারণে পরিসংখ্যানে কিছুটা পরিবর্তন ঘটতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে ঝরে পড়ার মূল কারণটি আর্থিক। এছাড়া আরো কিছু কারণ নিয়ে আলোচনা করছি
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস